ঢাকা,শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

চিকিৎসার অনুমতি নিয়ে কৌশলে ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া ::

ক্যাম্প থেকে কৌশলে বেরিয়ে অন্যত্রে চলে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। পরবর্তীতে এসব রোহিঙ্গারা পার্সপোট সংগ্রহ করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এভাবে অন্যত্রে চলে যাওয়ার সময় উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন আর্মি চেকপোস্টে আটক হয় মা’ছেলে সময় ২জন। তারা চিকিৎসার কথা বলে ক্যাম্প ইনচার্জের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন এদের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ, কিন্তু ক্যাম্প ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় চলে যাওয়ার সন্দেহে তাদেরকে আটক করে পরে ক্যাম্পে ফেরত পাঠায়। এভাবে ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় পুলিশ, আর্মি, বিজিবি চেকপোস্টে প্রায় ৫৮হাজার রোহিঙ্গা আটক হয়। যাদেরকে পরে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়ে দায়িত্বশীল সুত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, উখিয়া-টেকনাফে ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে। এখানে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নির্যাতনের শিকার হয়ে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য করে এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিদিন ক্যাম্প ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে। স্থানীয় দালাল চক্রের সহযোগিতায় মালয়েশিয়া,আরব আমিরাত,সৌদি আরব সহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার চেষ্ঠা করে থাকে এসব রোহিঙ্গারা।

রফিক নামের এক এনজিওকর্মী জানান, তার গাড়ীতে করে ২জন রোহিঙ্গা চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন, এসময় আর্মি চেকপোস্টে তল্লাশী সময় তারা সঠিক উত্তর দিতে না পারায় আইনপ্রয়োগকারীর সদস্যরা তারা ২জনকে বসিয়ে রাখে। এদের দেখে মনে হয়েছে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ। কিন্তু ক্যাম্প ইনচার্জের নিকট থেকে অনুমতি নিয়েছে চিকিৎসার কথা বলে। তাদের কাগজপত্রে দেখা গেছে, তারা ২জনই থাইংখালী শফিউল্লাহকাটা ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা। এরা হলেন- এনাম হোসেন (২২) সৌমুদা বেগম (৬১)। এখানে সৌমুদাকে রোগী সাজিয়ে তারা ক্যাম্পের বাইরে চলে যাচ্ছিল। পরে তাদেরকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠায় আইনপ্রয়োগকারী সদস্যরা।

পুলিশের দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে, নানা অজুহাত তুলে ক্যাম্পে বাইরে যাওয়ার সময় এ পর্যন্ত বিভিন্ন চেকপোস্টে আটক ৫৮হাজার রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত: